প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে করোনার টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। প্রথম দিন টিকা পাবেন সম্মুখযোদ্ধা ২৫ জন। বুধবার (২৭ জানুয়ারি) গণভবন থেকে বিকেল সাড়ে ৩টায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালেই ভার্চুয়ালি টিকাদান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন তিনি।
টিকা কার্যক্রম উদ্বোধনের আগে করোনার টিকা প্রদানে প্রদানে অগ্রাধিকারপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার জাতীয় সংসদে টাঙ্গাইল-৬ আসনের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটুর তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে এই তালিকা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় ভ্যাকসিন নিয়ে সরকারের পরিকল্পনাগুলো তুলে ধরেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসনসহ করোনাযুদ্ধে ফ্রন্টলাইন যোদ্ধাদের জন্য সুরক্ষাসামগ্রী প্রদান, আর্থিক প্রণোদনা প্রদান, যথাসময়ে টেস্টিং কিট আমদানি এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে ল্যাব স্থাপনসহ করোনা পরীক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করায় করোনা বিস্তার রোধে দক্ষিণ এশিয়াসহ অনেক উন্নত দেশের চেয়ে বাংলাদেশ এখন ভালো অবস্থানে আছে।
তিনি বলেন, যথাসময়ে করোনাভাইরাসের টিকা প্রাপ্তির বিষয়ে সরকার শুরু থেকেই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সরকার ইতোমধ্যে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট এবং বেক্সিমকো ফামাসিউটিক্যালসের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে, অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ৩ কোটি বা তার অধিক ডোজ ভ্যাকসিন ক্রয় করার ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছে। এই ভ্যাকসিন চলতি জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহেই বাংলাদেশে আসবে বলে আশা করা যায়।
ভ্যাকসিন বিতরণের প্রথম পর্যায়ে দেশের জনসংখ্যার মোট ১ কোটি ৫০ লাখ (৮.৬৮%) লোককে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে মোট ২ ডোজ করে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। দেশের ৬৪টি জেলা ইপিআই স্টোর এবং ৪৮৩টি উপজেলা ইপিআই স্টোরে এই ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করা হবে, চুক্তি অনুযায়ী ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট হতে প্রাপ্ত ৩ কোটি বা ততোধিক ডোজ ভ্যাকসিন ৬টি ধাপে সরাসরি বাংলাদেশের নির্ধারিত জেলার ইপিআই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারতের উপহার হিসেবে ২০ লাখ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ক্রয়কৃত ৫০ লাখ করোনার টিকা গত ২৫ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে ঢাকা পৌঁছেছে। এই ৭০ লাখ টিকা সংরক্ষণ ও বিতরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সেরামের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী আগামী ৬ মাসে সব টিকার সরবরাহ পাওয়া যাবে। এর বাইরে প্রয়োজন মোতাবেক আরও টিকা ক্রয়ের সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ভ্যাকসিন প্রাপ্তদের অনুযায়ী কোভিড-১৯ স্বাস্থ্যসেবায় সরাসরি সম্পৃক্ত সব সরকারি স্বাস্থ্যকর্মী ৪ লাখ ৫২ হাজার ২৭ জন টিকা পাবেন।