শরীয়তপুরের জাজিরায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্তকে ২০টি জুতার বাড়ি দিয়েই গ্রাম্য সালিশে বিচার শেষ করা হয়। এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর ইউপি সদস্য, ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তি, গ্রাম্য সালিশের মাতব্বর ও ধর্ষণের ভিডিও ধারণকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এর আগেই একই দিন বিকেলে জাজিরা থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ।
গ্রেফতাররা হলেন- ধর্ষণে অভিযুক্ত উপজেলার মূলনা ইউনিয়নের চরলাউখোলা বালিয়াকান্দি গ্রামের দুদু মিয়া, ইউপি সদস্য জসিম সরদার, মোকসেদ মাদবর ও ধর্ষণের ভিডিও ধারণকারী নয়ন মোড়ল।
স্থানীয়রা জানায়, গত শুক্রবার রাতে স্বামীর অনুপস্থিতিতে ঘরে ঢুকে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন দুদু মিয়া। এ সময় ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন স্থানীয় ফরহাদ, নয়ন মোড়ল, রায়হান সিকদার, আবুল মোড়ল। ঘটনা ধামাচাপা দিতে গত মঙ্গলবার স্থানীয় মোকসেদ মাদবরের বাড়িতে ভুক্তভোগী পরিবারের অনুপস্থিতিতে সালিশের আয়োজন করা হয়। সালিশে উপস্থিত মাতব্বররা ধর্ষণের সেই ভিডিও মোবাইল থেকে ডিলিট করতে ও ৫০টি জুতার বাড়ি মারার রায় ঘোষণা করেন। সেখানে ৩০টি মাফ করে দিয়ে দুদু মিয়াকে ২০টি জুতার বাড়ি মারা হয়। সালিশে ইউপি সদস্য জসিম সরদার, মোকসেদ মাদবরসহ স্থানীয় মাতব্বররা উপস্থিত ছিলেন।
এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে দুদু মিয়াসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে জাজিরা থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ। এরপর চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অ্যাডিশনাল এসপি (নড়িয়া সার্কেল) এসএম মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।