মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার
চান্দেরচর গ্রামে প্রেমের জেরে সাইফুল ইসলাম রাজন (১৯) নামের এক যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।
গুরুতর আহত ওই যুবক বর্তমানে রাজধানীর হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বালুচর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি মেম্বার
মৃত জয়নালের নাতনির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয় সাইফুলের।
সম্পর্কের তিন বছরের মাথায় তারা দুজনে পালিয়ে যান। তবে সাইফুলের লেখাপড়া ও পরিবারিক অবস্থা ভালো না থাকায় আপত্তি ওঠে মেয়ের পরিবার থেকে। শনিবার (৮ জানুয়ারি) ওই যুবককে মোবাইল ফোনে ডেকে নেন মেয়ের চাচা আলমগীর হোসেন। পরে তিনি ওই বাড়িতে গেলে তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। শত মানুষের সামনে দুই ঘণ্টাব্যাপী এ নির্যাতন চলে। পরে এলাকাবাসী সিরাজদিখান থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে সাইফুল ইসলামকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আহত সাইফুল ইসলামের নানা জজ মিয়া বলেন, ‘আমার নাতির অবস্থা বর্তমানে খারাপ। তাকে ঢাকার হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার দুই পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আঘাতে মাথায় বড় গর্ত হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আলমগীরের নেতৃত্বে তার ভাই-ভাতিজারা মিলে আমার নাতিকে হাত-পা বেঁধে আসর নামাজের ওয়াক্ত থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত মারধর করা হয়েছে। জানি না নাতির ভাগ্যে কী আছে? আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।’
জানতে চাইলে অভিযুক্ত আলমগীর বলেন, ‘দুই মাস আগে আমার ভাইয়ের মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সাইফুল। পরে পুলিশ গিয়ে ভাতিজিকে উদ্ধার করে। ছেলেটি জেলহাজতে ছিল। এক সপ্তাহ আগে হাইকোর্ট থেকে জামিনে এসে আমাদের হুমকি দিয়েছে। শুক্রবার আমাদের বাড়িতে লোকজন কম ছিল। ভাতিজিকে আবারও উঠিয়ে নিতে আসে সাইফুল। তখন আত্মীয়-স্বজনরা ধরে তাকে গণধোলাই দিয়েছে।’
সিরাজদিখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজগর হোসেন বলেন, ছেলে আর মেয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছিল। ছেলেটি অপহরণ মামলায় জেলে ছিল। উভয়ের বাড়ি একই এলাকায়। মারধরের ঘটনায় সাতজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে।