মেহেদি হাসান সিদ্দিকী একজন নওমুসলিম।
১৯৯৯ সালে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে স্বেচ্ছায় ঘোষণা দিয়ে ২৩ বছর বয়সে ইসলামের ছায়াতলে দীক্ষিত হন।
এরপর থেকেই ঈমান-আকীদাহ নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় পথ চলছেন।
মেহেদি হাসানের আগের নাম মহাভারত সরকার, পিতা সম্ভুনাথ সরকার। মাতা গিতা রাণী সরকার।
তার গ্রামের বাড়ি ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার জয়পাড়া।
স্বল্পভাষী মেহেদি হাসান ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে নিজের চেষ্টায় জ্ঞান অর্জন করে চলছেন।
অর্জিত জ্ঞান মানুষের সামনে তুলেও ধরতে পারেন। ইসলামের কথাগুলো তিনি সুন্দর করে গুছিয়ে বলতে পারেন।
ইসলাম ধর্ম গ্রহণের দু’বছর পর বিয়ে করেন। বর্তমানে মেহেদি হাসানের সংসারে স্ত্রী ও ৪ ছেলে সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে রাকিব হাসান সিদ্দিকী (১৮) মাদরাসায় পড়াশুনা করছেন। অন্য ছেলেরা হচ্ছে মো: ইবরাহিম (৭), ইসরাফিল (৬) ও আল আমিন (৪)।
২০০৯ সালে ঢাকার হাজারীবাগ এলাকায় একটি ট্যানারী কারখানায় চাকরি হওয়ার সুবাদে সেখানেই বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। ভালোভাবেই চলছিল তাদের সংসার। গত দু’বছর আগে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে গেলে চাকরি হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েন মেহেদি হাসান।
তবে তারপরও বসে থাকেননি। সংসারের চাকা সচল রাখতে ঢাকার চকবাজার এলাকা থেকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য এনে বিক্রি করতেন দোকানে দোকানে। বাড়িভাড়া আর সংসার চালাতে গিয়ে এক পর্যায়ে ব্যবসায়ের পুঁজি হারিয়ে ফেলেন। স্ত্রী ও চার ছেলে নিয়ে এখন অর্থকষ্টে জীবন যাপন করছেন। তবু মহান আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা রেখে দিন কাটাচ্ছেন।
স্ত্রী ৩ বছর ধরে ব্রেস্ট টিউমার ও জরায়ু সমস্যায় ভুগছেন। হোমিও চিকিৎসা করেও তেমন কোন উন্নতি হয়নি। চিকিৎসক জানিয়েছেন ব্রেস্ট টিউমারের অপারেশন করলে সুস্থ হয়ে উঠবেন। জরায়ুরও চিকিৎসা করাতে হবে। এজন্য প্রায় ৫০ হাজার টাকার প্রয়োজন। ৩ মাসের বাড়ি ভাড়াও বকেয়া রয়েছে। আবার পুঁজি না থাকায় ২ মাস ধরে ব্যবসাও বন্ধ।
মেহেদি হাসান জানান, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অশেষ কৃপায় ভালো আছি। ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর থেকে সবদিক দিয়ে ভালো আছি। ১৯৯০ সাল থেকে বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে গিয়ে ইসলামের কথাবার্তা শুনতাম। আমার কাছে কথাগুলো অনেক ভালো লাগতো। আমি মনস্থির করি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করবো। অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৯৯ সালে মার্চ মাসে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করি। ধর্ম গ্রহণের ক্ষেত্রে আমাকে কেউ প্রলুব্ধ করেনি বরং মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের প্রেমে পড়ে ধর্মান্তরিত হই।
তিনি বলেন, পার্থিব কষ্টের বিনিময়ে পরকালের অনন্ত শান্তির ব্যবস্থা করেছেন মহান আল্লাহ তায়ালা। এজন্য দুনিয়ার কোনো কষ্টকে কষ্ট মনে করি না। মহান সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে যখন যে ফায়সালা আসে আমি তা বিনাবাক্যে মেনে নিবো। আমার স্ত্রী ও সন্তানরাও আল্লাহর শোকরগুজার বান্দা।
সমাজের সামর্থ্যবান ও বিত্তবানরা মেহেদি হাসান সিদ্দিকীর পরিবারের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন। আপনার সামান্য সহযোগিতা এই পরিবারটির অভাব-অনটন দূর হতে পারে। আগ্রহীরা মেহেদি হাসানের বিকাশ নম্বরে সাহায্য পাঠাতে পারেন। বিকাশ নম্বর- ০১৯৬৪-২৯৭০৫৭ (মেহেদি হাসান)।